কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশীয় তৈরি অস্ত্র সরবরাহকারী এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে র্যাব-১৫। র্যাবের দাবি, অস্ত্রগুলো যাচ্ছিল মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা’ সদস্যদের কাছে ।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাতে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকা থেকে অস্ত্রসহ ওই রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়।
আটক আরিফ হোসেন টেকনাফের নয়াপাড়া মোছনি ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে ৪টি দেশীয় তৈরি শুটারগান, তিন রাউন্ড কার্তুজ ও দুইটি অটো স্নাইপার রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপরে কক্সবাজারস্থ র্যাব-১৫-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একজন ব্যক্তি মহেশখালী থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসীদের সরবরাহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে শহরের বাহারছড়া এলাকায় তল্লাশীর একপর্যায়ে একজন ব্যক্তি র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগসহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে আটক করা হলে প্লাস্টিকের ব্যাগে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আটক ব্যক্তি নিজের পরিচয় দিয়ে জানান, দীর্ঘদিন ধরে মহেশখালীসহ বিভিন্ন এলাকা হতে অবৈধ অস্ত্র কিনে গোপনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসীদের সরবরাহের কথা স্বীকার করে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
র্যাব অধিনায়ক জানান, গত ৬ এপ্রিল আরেকটি অভিযানে চকরিয়া থেকে অস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। তারাও মহেশখালী থেকে অস্ত্র নিয়ে আরসাকে সরবরাহ করতে যাচ্ছিল।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করেছে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত